পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া নবীন শিক্ষার্থীদের উৎসাহ উদ্দীপনা আর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে “ব্যাঙাচি বরণ” অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রতিবছর নবীনবরণ অনুষ্ঠানের একটা নামকরণ করেন শিক্ষার্থীরা। এই বছর ছিলো ব্যাঙাচিবরণ, তার আগের বছরগুলোতে ছিলো ফড়িংবরণ, পিঁপড়াবরণ, মিঠুবরণ।
ব্যাঙাচি বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চারুকলা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চারুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলপ্তগীন তুষার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. বজলুর রশিদ খান, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ রেজাউল সাদাত। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চারুকলা বিভাগ ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আরাফাত ইসলাম আমান ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সহ বিভাগের বিভিন্ন আবর্তনের শিক্ষার্থীরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আলপ্তগীন তুষার বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতি অনেক আন্তরিক।
তোমাদের সকল সমস্যা আমাদের জানাবে, আমরা শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যায় সবসময় পাশে থাকতে চাই।
অধ্যাপক বজলুর রশিদ খান বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও জাতীয় পুরষ্কার অর্জন করছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল হচ্ছে। তোমাদের সাফল্যও আগামীতে আমাদের গর্বিত করবে। এছাড়াও অধ্যাপক রেজাউল সাদাত শিক্ষার্থীদের শুভকামনা জানায়।

চারুকলা বিভাগ ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত ইসলাম আমান নবীনদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসর অতি উদার, এখানকার সামগ্রিক পরিবেশও অনেক বেশি উন্মুক্ত। তােমরা তোমাদের বৃহত্তর জীবনে নিজেদেরকে আগামী জাতীর কাণ্ডারী – রূপে গড়ে তুলতে সচেষ্ট থাকবে, এটাই সবার প্রত্যাশা।

চারুকলা বিভাগ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, নবীনদের পদচারণায় চারুকলা অনুষদ আজ মুখরিত । আমরা চারুকলা বিভাগ ছাত্রলীগ যেকোনো প্রয়োজনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যেভাবে পাশে ছিলাম ভবিষ্যতেও তাদের পাশে থাকবো।

আয়োজক ৯ম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মমিতা রাণী সূত্রধর নবীনদের উদ্দেশ্যে বলেন, নবীনেরা হাত বাড়িয়ে প্রবীণদের সাথে মিশে মুক্তির কেতন উড়াও । তোমাদের পদভারে মুখরিত হোক এই আঙ্গিনা । তোমাদের আগমন শুভ হোক,শুভ হোক তোমাদের যাত্রা। সারাদিন ব্যাপী এই আয়োজনে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের বক্তব্য প্রদানের পর নবীনদের বরণ ও পরবর্তীতে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই আয়োজন।